দুধ হলো আদর্শ এক খাবার। এই উপাদানটি শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি ত্বকেও খুব ভালো কাজ করে। বয়সের ছাপ থেকে শুরু করে ব্রণ এমনকি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ায় দুধ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক, ত্বকে দুধ ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে-
> ভুল ত্বক পরিচর্যার কারণে বা সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার ফলে ত্বকে দেখা দিতে পারে বয়সের ছাপ। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সহায়তা করে।
> ত্বক নিয়মিত এক্সফলিয়েট করলে মৃত কোষ দূর করে ত্বককে মসৃণ ও কোমল করতে সাহায্য করে। সরাসরি ব্যবহার অথবা দুধ দিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
> অতিরিক্ত রোদের কারণে ত্বকের ক্ষতি হয়। দুধে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা রোদের পোড়াভাব কমায় ও রোদের কারণে হওয়া ক্ষয় রোধ করে। ঠান্ডা দুধ তুলার সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
> শীতে ত্বক আর্দ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো হয়। চাইলে যে কোনো ধরনের ফেইস প্যাকের সঙ্গে দুধ যোগ করে ব্যবহার করতে পারেন।
> কাঁচা দুধে প্রচুর ভিটামিন থাকে যা ত্বকের জন্য উপকারী। কাঁচা দুধ ব্রণ কমায় এবং বাড়তি তেল ও জীবাণু কমায়। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্রণ সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্র জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে।
> কাঁচা দুধ তুলার বলের সাহায্যে পরিষ্কার মুখে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ধীরে ধীরে ব্রণ দূর হবে।
ফেইস প্যাক হিসেবে দুধের ব্যবহার
> দুধ, বেসন, হলুদ ও মধু- একটা পাত্রে বেসন ও দুধ নিন। এতে এক চিমটি হলুদ ও এক চা-চামচ মধু যোগ করুন। ঘন মিশ্রণ তৈরি করে প্যাকটি ত্বকে মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
> দুধ, মধু ও লেবু- মধু ও লেবুর সঙ্গে কাঁচা দুধ মেশালে তা প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে।
> এক টেবিল-চামচ কাঁচা দুধ, আধা টেবিল চামচ মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
