March 28, 2024 | 7:24 PM

অনেকেই আছেন বয়সের তুলনায় অনেকটাই খাটো। তারা উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য কতই না সাধনা করেন। তবে উচ্চতা বাড়াতে এত সাধনার দরকার হয না, মাত্র সপ্তাহে তিনদিন করে নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করলেই ভালো ফল পাওয়া যাবে। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে শরীরের আড়ষ্টভাব কেটে গিয়ে উচ্চতা বাড়তে শুরু করবে। তবে হ্যা, অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই বলে শুধু ব্যায়াম করলেই হবেনা। সুষম খাদ্যও গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রায় আনতে হবে পজিটিভ মনোভাব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক উচ্চতা বাড়াতে যেসব ব্যায়ামের প্রয়োজন-

১) প্রথম ব্যায়াম: দেয়ালের সঙ্গে পিঠ লাগিয়ে দাঁড়ান। এভাবে দাড়িয়ে নিজেকে দেয়ালের সমান্তরালে সোজা রাখবার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে, আপনার শরীরের পেছন দিকটির পায়ের গোড়ালি থেকে শুরু করে মাথা পর্যন্ত যেন দেয়াল স্পর্শ করতে পারে। এভাবে দেয়াল স্পর্শ করে সোজা হয়ে স্ট্রেচ করার চেষ্টা করুন। এভারে আট থেকে দশবার করুন ব্যায়ামটি।

২) দ্বিতীয় ব্যায়াম: প্রথম ব্যায়াম শেষ হবার পরে এই পর্যায়ে রিং বা বারের সাহায্যে হাতের ভরে ঝুলে পড়ুন। শরীরের ভার ছেড়ে দিন। পা দুটিকে দুলতে দিন অনুভব করুন মধ্যাকর্ষণ শক্তি নিজের উপরে। এভাবে দশ সেকেন্ড পর্যন্ত ঝুলে থেকে ছেড়ে দিন নিজেকে। আবার একই প্রক্রিয়ায় করুন এই ব্যায়াম। এটি আট থেকে দশবার করতে পারেন।

৩) তৃতীয় ব্যায়াম: এবার আবার রিং ধরুন। তবে এবার ঝুলে থাকতে হবেনা। বরং রিং ধরে নিজেকে উপরে উঠানোর চেষ্টা করুন। এভাবে একবার উপরে উঠতে পারলে তারপর নিজের শরীরের ভার ছেড়ে দিন। ছেড়ে দিয়ে প্রায় তিন মিনিট পর্যন্ত ঝুলে থাকুন। এভাবে এই ব্যায়ামটি ছয় সেটে শেষ করুন। মনে রাখবেন শুরুতেই তিন মিনিট ধরে ঝুলবেন না। আপনার শরীর যে পরিমাণ নিতে পারবে সে পরিমাণ করবেন। ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে তিন মিনিট করুন।

৪) চতুর্থ ব্যায়াম: এই পর্যায়ে এসে ব্যায়ামটি একটু কঠিন মনে হবে। এবার আপনাকে রিঙে উল্টা হয়ে পায়ের হাঁটুর ভাজের সাহায্যে ঝুলতে হবে। উল্টা হয়ে ঝুলে নিজের শরীর ছেড়ে দিন। হাত দুটিকে ঝুলতে দিন। এভাবে এক থেকে দশ পর্যন্ত গুনতে থাকুন। গোনা শেষ হলে নেমে পড়ুন। এই পর্যায়টি সম্পন্ন করতে কারো সাহায্য নিন। ধীরে ধীরে করার চেষ্টা করুন। একবারে না পারলে জোর খাটাবেন না নিজের প্রতি। ধীরে ধীরে শেখার চেষ্টা করুন। তারপরও নিজের আয়ত্তে আনতে না পারলে এই ব্যায়ামটির সব থেকে কাছাকাছি যতটুকু করতে পারবেন তাই করবেন।

৫) পঞ্চম ব্যায়াম: আপনি যদি এই পর্যায়ে এসে পড়েন তবে আপনার জন্য সুখবর হল, সব থেকে কঠিন পর্যায় পার করে এসেছেন। এরপরে যা করতে হবে তা হল আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন সেখান থেকে আপনার বাম দিকে দীর্ঘ একটি লাফ দিতে হবে। সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন ডান পায়ের ভরে অবতরন করতে। অর্থাৎ লাফ দিয়ে নামার সময় ডান পা আগে মাটি স্পর্শ করবে। লাফ দেওয়ার সময় চেষ্টা করবেন যত দীর্ঘ সম্ভব তত দীর্ঘ লাফ দিতে।

৬) ষষ্ঠ ব্যায়াম: এই পর্যায়ে আপনি আপনার পেটের ভরে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। আপনার শরীর এবং পা থাকবে সোজা এবং টানটান। হাতদুটোকে তুলে দিন আপনার পেছন দিকে এবং টানটান অবস্থায় রাখুন। এবার এই অবস্থায় থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব বাঁকা করে তুলে ধরতে চেষ্টা করুন। আপনার মাথা এবং ঘাড় থাকবে সামনের দিকে সোজা অবস্থায়। এভাবে আট থেকে দশবার চেষ্টা করুন।