March 29, 2024 | 12:27 PM

বইপত্র, সাময়িকী ও অনলাইনে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ছয়টি পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন দেখে নেই তারা আপনার জন্য কী কী পরামর্শ দিয়েছেন।

1.ইতিবাচক সঙ্গ বাছাই

আমাদের চারপাশে নেতিবাচক চিন্তার মানুষে বোঝাই। এরা নিজের জীবনে যেমন সুখী নয়, তেমনি অন্যের সুখও সহ্য করতে পারে না। আপনি যখন অন্যের ইতিবাচক দিক দেখতে পাবেন না তখন আপনিও সুখী হবেন না। তাই আপনি যাঁদের সঙ্গে সময় কাটান, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি যথেষ্ট ইতিবাচক না-ও হতে পারে। সুখী ও ইতিবাচক মানুষের সঙ্গ বেছে নিলে তাঁদের মানসিকতার প্রভাবে আপনার সুখী হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।

2. ব্যর্থতা অনিবার্য

প্রবল ইচ্ছা এবং শ্রম দিয়েও যদি কোনো কাজে ব্যর্থ হন তাহলে হতাশা ঘিরে ধরতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে হতাশা একবার ঘিরে ধরলে তাকে সরানো মুখের কথা নয়। আমরা চাইলেই ব্যর্থতাকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারি, যদি একটু সময় নিয়ে ভাবি কেন ব্যর্থ হলাম। কিন্তু যদি হতাশায় ডুবে থাকেন আর নিজেকে দায়ী করতে থাকেন তাহলে হতাশা আপনাকে পথে নামিয়ে দেবে। তাই ব্যর্থতায় হতাশ হবেন না এবং নিজেকে দায়ী করবেন না। বরং সেই ব্যর্থতাকে জীবন থেকে শেখার একটি অংশ হিসেবে নিন এবং এগিয়ে চলুন। জীবনে সফলতাও আসবে। অনুশোচনায় ব্যর্থতার স্থায়িত্ব বাড়ে।

3.নিজেকে নিয়ে সুখী হোন

বাড়ি কিছু নয়, সুখী হতে প্রচুর ধন সম্পত্তি থাকতে হয় এমনও না। শুধু নিজের মন কে বুঝিয়ে দেওয়া যে অল্প যা আছে তাতেই আপনি সুখী। একা কখনো সুখী হওয়া যায় না। সুখী হতে হলে সবাইকে নিয়ে সুখী হতে হয়। তাই জীবনে যা আছে, তাকে উপেক্ষা করবেন না। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজনসহ নিজের প্রাপ্তিগুলো নিয়ে প্রতিদিন কিছুটা সময় চিন্তা করুন। এতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হবে, বিষণ্নতা দূর হবে।