একা থাকছেন? তাহলে সতর্ক থাকুন এসব বিষয়ে

Written by News Desk

Published on:

একা থাকা মানেই ডানা মেলে ওড়া! বর্তমানে অনেকেই একা থাকতে পছন্দ করেন। আবার অনেকেই চাকরি, পড়াশুনা কিংবা একা থাকার পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত থেকে একা স্বাধীনভাবে থাকছেন। অনেকের ধারণা একা থাকা মানে লাগামহীন চলাফেরা। কিন্তু ধারনাটি ভুল, একা থাকা মানেই লাগামছাড়া জীবনযাপন নয় বরং অনেক বেশি দায়িত্ব, নিয়ম-কানুন এবং দৈনন্দিন নানা খুঁটিনাটির মোকাবিলা করা। অন্য শহরে নিজের পরিবার পরিজনকে ছেড়ে থাকতে হলে একা লাগাটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই একাকীত্ব থেকে যেন আপনাকে নিরাশা গ্রাস না করে। তাই জেনে নিন কিছু বিষয়-

১. নতুন শহরে নতুনভাবে নিজের জীবন শুরু করতে একা থাকার ভালো দিকগুলো চিন্তা করুন। ছোটোখাটো সমস্যাতো থাকবেই, কিন্তু এর মধ্যেই নিজেকে এবং চারপাশকে আবিষ্কার করার আনন্দে থাকুন। অবসরে বই পড়ুন, ব্লগ লিখুন অথবা সাপ্তাহিক ছুটিতে নতুন কোনো জায়গায় ঘুরতে যান।

২. আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ আছে যেমন- নাচ, গান, ছবি আঁকা ইত্যাদি শিখতে পারেন। সমমনস্ক মানুষদের সঙ্গে মিশলে আপনারও ভাল লাগবে।

৩. একা থাকা মানে অনেকটা স্বাধীনতা। আর ঠিক এই কারণেই প্রয়োজন নিজস্ব একটা রুটিন। তাই নিজের জন্য একটা রুটিন বানিয়ে সেভাবে চললে দেখবেন সহজেই সময়ের মধ্যে সব কাজ করে ফেলতে পারেছেন।

৪. ঘর পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন। পছন্দের পরদা, পেন্টিং, শো পিস দিয়ে মনের মতো ঘর সাজান।

৫. নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে কাছে রাখুন পছন্দের গল্পের বই, সিনেমা এবং গানের কালেকশন। সকালবেলা চায়ের কাপে কিংবা রাতে ঘুমোনোর আগে এরা থাকবে আপনার সঙ্গি হিসেবে।

৬. রোজ রোজ একঘেয়ে খাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতে রান্না করুন। প্রথমদিকে সহজ কিছু দিয়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে লাঞ্চ এবং ডিনারও ট্রাই করুন। সাপতাহিক ছুটিতে সারাসপ্তাহের রান্নার পরিকল্পনা অনুযায়ী বাজার করে ফেলুন। এতে জিনিসপত্র কম নষ্ট হবে।

৭. একা থাকতে গিয়ে যদি কোনও অসুখ-বিসুখ হয়, সেজন্য আগে থেকে তৈরি থাকুন। সংগ্রহে রাখুন সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশির ওষুধ, থার্মোমিটার, পেন কিলার,ব্যান্ডেজ, গজ, তুলো, এন্টিসেপটিক অয়েনমেন্ট রাখুন।একা থাকলে নিজের শরীর সুস্থ রাখার দায়িত্ব নিজেরই থাকে। তবে শরীর খারাপ করলে অবশ্যই প্রতিবেশীদের জানিয়ে রাখুন।

৮. একা থাকলে কিছু সাবধানতা মেনে চলুন। বাড়ির দরজায় সিকিওরিটি চেন লাগিয়ে নেবেন। এতে কেউ এলে পুরো দরজা খোলার দরকার হবেনা। রাস্তায় শেয়ারে গাড়িতে চড়া এড়িয়ে চলুন। বন্ধু, কলিগ, পরিবারের সবাইকে নিজের বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর, প্রতিবেশীর নম্বর দিয়ে রাখুন। রাতে বাসায় ফিরতে দেরি হবে বুঝলে কাছের কেউ বা প্রতিবেশীদের জানিয়ে রাখুন যাতে তারা খোঁজখবর নিতে পারে। অফিসের ড্রয়ারে বা বাড়ির কাছের কোনও বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছে ডুপ্লিকেট চাবি রাখুন। বাড়িতে কাজের লোক রাখার আগে ভাল করে খোঁজখবর করে নিন।

Related News