April 19, 2024 | 3:40 PM

সারাদিনের ব্যস্ততার শুরু হয় সকাল থেকেই। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই যেন রাজ্যের আলস্য এসে জড়ো হয়, এরপর কোনোরকম উঠে হাত-মুখ ধোওয়া, সকালের খাবার খাওয়া, তৈরি হয়ে কর্মক্ষেত্রে ছোটা- ব্যায়ামের সময়টা কোথায়? এদিকে শরীরের প্রতি সচেতনতা ও যত্নশীলতার প্রমাণ হিসেবে ব্যায়াম যে করতেই হয়! তাই আর কোনো উপায় না পেয়ে বেছে নিয়েছেন রাতের বেলা? যদি এমনটা করে থাকেন তবে আজই তা বন্ধ করতে হবে। আর এমনটাই বলছে নতুন গবেষণা।

একটি নতুন গবেষণা অনুসারে, ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করলে তা আপনার হৃদস্পন্দন এবং ঘুমের চক্রকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম করা ভালো কিন্তু ভুল সময়ে করলে তাতে কোনো লাভই হবে না। রাতে ব্যায়াম করলে তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বেশিরভাগেরই ধারণা হলো রাতে ব্যায়াম করলে তা ক্লান্ত করে দেয় এবং এর ফলে ভালো ঘুম হয়। কিন্তু নতুন গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা।

গবেষণা কী বলছে?

নতুন গবেষণা অনুসারে, রাতে ব্যায়াম করলে তা আপনার হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ঘুম ব্যাহত করতে পারে। ব্যায়াম করলে সাধারণত আপনি ডিহাইড্রেটেড হয়ে যান এবং শরীরে স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হয়, যা আপনাকে জাগিয়ে রাখে। জিমের উজ্জ্বল আলো এবং স্ট্রেস হরমোন মেলাটোনিন ঘুমের হরমোন তৈরি হতে বাধা দেয়। জেনে নিন রাতে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকার ৩ কারণ-

ঘুম ব্যাহত করে

আপনি যখন ব্যায়াম করেন, তখন অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি অ্যাড্রেনালিন তৈরি করতে সক্রিয় হয়, যা এপিনেফ্রিন নামে পরিচিত। এটি হৃদযন্ত্রকে দ্রুত চালিত করে এবং হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। এটি পেশীগুলোতে অক্সিজেনের মাত্রা এবং রক্ত প্রবাহকেও বাড়িয়ে তোলে। এসবই আপনার ঘুম ব্যাহত করে।

স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে

তীব্র ব্যায়াম স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করতে এবং হৃদস্পন্দন বাড়াতে পারে, যা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় নিতে পারে। এতে আপনার ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে। কয়েকটি তীব্র ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে দৌড়, সাঁতার, সাইক্লিং এবং ভারোত্তোলন। স্নায়ুতন্ত্রকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য সময় প্রয়োজন, কারণ এটি হাত-পা-চোখের সমন্বয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যখন স্নায়ুতন্ত্র ওভারড্রাইভ হয়, তখন পেশী ব্যথা, ব্যথা এবং দুর্বল ঘুম হতে পারে।

পেশীর বৃদ্ধি ব্যাহত হয়

আপনি যখন তীব্র ব্যায়াম করেন, তখন আপনার পেশী ভেঙে এবং ছিঁড়ে যায়। পেশী সুস্থ রাখা এবং বৃদ্ধি করার প্রধান উপায় হলো বিশ্রাম। ঘুমানোর আগে ব্যায়াম যেমন আপনার ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে, তেমনি এটি পেশী বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকেও ব্যাহত করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

* ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে ব্যায়ামের পর্ব সেরে নিন।

* পেশী শিথিল করতে হালকা গরম জলে গোসল করুন।

* শোবার ঘরে এসেন্সিয়াল অয়েল মিশ্রিত কোনো আলো জ্বালান, গোসলের জলেও ব্যবহার করতে পারেন এই তেল। এটি আপনাকে সতেজ অনুভূতি দেবে।