March 29, 2024 | 2:03 AM

কর্মজীবী মানুষের ব্যস্ততার শেষ নেই। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে ঘুরে তাদের প্রতিদিনের জীবন। আর সেই ব্যস্ততায় খাওয়া দাওয়া হয় কিছুটা অনিয়ম। আমাদের খাদ্য তালিকায় অন্যতম ডিম। সহজলভ্য আমিষ জাতীয় খাদ্যটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। মানুষের শরীর সুস্থ রাখতে ডিম অত্যান্ত ভূমিকা রাখে। তবে কেউ কেউ মনে করেন ডিম খেলে রক্তের চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, ওজন বেড়ে যায় ইত্যাদি। কিন্তু ডাক্তার-গবেষকরা বলছে ভিন্ন কথা। ছোট্ট একটি ডিম নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আসুন জেনে নেই রোজ একটি ডিম খেলে কি কি উপকার পাওয়া যাবে।

জেনে নিন ডিম খাওয়ার সঠিক নিয়ম-

১. সিদ্ধ ডিম খাওয়ার আগের দিন রাতে ভিনিগারে ভিজিয়ে রাখুন। সারারাত ভিনিগারে ভেজার পর সকালে সেটি নিশ্চিন্তে খেয়ে নিন।

২. রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে আরও একটি উপাদান সেটি হলো দারুচিনি। এটি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিনের খাবার, কিংবা চা বা গরম জলে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। সিদ্ধ ডিম সামান্য দারুচিনির গুড়া দিয়ে খেলে ফল পাবেন।

৩. ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং নিউট্রিয়েন্টস (পুষ্টি দ্রব্য)। শুধু তাই নয়, ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সব পুষ্টিগুণ মিলে আমাদের শরীরে তৈরি হয় ‘গুড কোলেস্টরল’। তাই শরীরে কোলেস্টরল আর ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক পদ্ধতি মেনে ডিম খান।

সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সপ্তাহে যারা তিনটি অথবা তার বেশি ডিম খান অথবা প্রতিদিন ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি ডায়েটারি কোলেস্টেরল গ্রহণ করেন, তাদের হৃদপিণ্ডের সমস্যায় ভোগার এবং অকালে মৃত্যুবরণ করার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। ২ হাজার ৯০০ মানুষের ওপর ১৭ বছর তথ্য সংগ্রহ করে এই গবেষণা করা হয়। গবেষকরা ছয়টি স্টাডি গ্রুপের থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি ডায়েটারি কোলেস্টেরল গ্রহণ করেছেন, তাদের অন্যদের তুলনায় হৃদপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি ৩.২% বেশি এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ৪.৪% বেশি থামে। আর শুধু যে ডিম খেলেই মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে তা-ও কিন্তু নয়। গবেষকরা মৃত্যুঝুঁকি বাড়ার ক্ষেত্রে ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, ব্যায়াম না করার বিষয়গুলোও তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে কোলেস্টেরলের ঘাটতি পূরণে ও সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিম খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সেটি পরিমাণ মতো।
Ts