March 28, 2024 | 2:04 PM

প্রেম সবার জীবনেই আসে। কারো কারো জীবনের প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়, কারো কারো আবার মাঝ পথেই থেমে যায়। প্রেমে বিচ্ছেদ খুবই স্বাভাবিক। তবে প্রাক্তনকে ভুলে থাকা কষ্টের। তাই বলে এই বিচ্ছেদের কষ্ট বুকে নিয়ে বাকি জীবনটা নষ্ট করা বোকামি।

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেকআপের পর কষ্ট-দুঃখ কাটিয়ে না উঠতে পেরে হতাশার মধ্যে ডুবে যান। কিন্তু যে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে, সেখান থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে গিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করাই শ্রেয়। যদিও ব্রেকাপের পর সাবেককে ভুলে থাকা সহজ না। তবে সামনে আগাতে হলে যত দ্রুত ভুলতে পারবেন ততই ভালো। এতে কোনো সময়সীমা নেই। একেকজনের ক্ষেত্রে এ সময় একেকরকম হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকাকে এড়িয়ে চলার কিছু উপায় জেনে রাখলে উপকার মিলবে। উপায়গুলো হলো-

একদম যোগাযোগ করবেন না

একবারে ব্রেকআপ করে ফেললে তার সঙ্গে আর কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখবেন না। কারণ ব্রেকআপ মানেই আপনি তাকে বাদ দিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। এরপর কোনো রকম যোগাযোগ আপনি তার সঙ্গে করবেন না। আর যোগাযোগ না করলে আপনি নিজেকে সময় দিতে পারবেন এবং পরে কী করা উচিত, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। বিষয়টা কঠিন হলেও করতে হবে। একটা সময় গিয়ে দেখবেন সবকিছু সহজ হয়ে যাবে।

মেনে নিতে শেখা

ব্রেকআপের পর স্বাভাবিকভাবে খুব হতাশ লাগবে। নিজেকে সময় দিন। জীবনে উত্থান-পতন আসবে- এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু তা আপনাকে ধৈর্য নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। তাই বলে নিজের ওপর চাপ দেবেন না। নিজেকে সময় দিন। ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে আর অনেক সুযোগ জীবনে তৈরি হবে।

বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা

ব্রেকআপের পর নিজেকে খুব একা লাগতে পারে। এ সময় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন। যার সঙ্গে অনেক দিন দেখা হয়নি এমন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করুন, মজার খাবার খেতে যান। এতে করে ভালো সময় কাটবে। আপনার কারো সঙ্গে ডেট করতে হবে এমন না, তবে চেষ্টা করুন ভালো সময় কাটাতে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর না রাখা

ব্রেকআপের পরেও অনেকে সাবেকের ওপর নজর রাখার চেষ্টা করে। সে কী করছে, কেমন আছে এই বিষয় জানার চেষ্টা করে। কিন্তু বিষয়টি মোটেই গ্রহণযোগ্য না। কারণ যে আপনাকে ছেড়ে গেছে বা আপনি ছেড়ে গেছেন, সে কী করছে তা আপনার দেখার বিষয় না। আপনি নিজের দিকে ফোকাস করুন যেন জীবনে এগিয়ে যাওয়া যায়।

ব্যায়াম ও খাবারের দিকে নজর দেবেন

ব্যায়াম করলে শারীরিক ও মানসিক দুই দিক থেকেই আপনি ভালো থাকতে পারবেন। অনেক সময় আপনি এর তাৎক্ষণিক উপকারিতা না বুঝলেও আপনি যদি ওয়ার্কআউট করা বন্ধ করে দেন, তবে এরপরে বুঝবেন প্রতিক্রিয়া। এটি হরমোন রিলিজ করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে এনার্জি লেভেল বাড়ে। সেসঙ্গে মন-মেজাজও ফুরফুরে রাখে।