March 28, 2024 | 5:00 PM

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও ধূমপায়ীরা এতে আসক্ত হয়ে থাকেন। ধূমপান ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। অনেকেই ভেবে থাকেন ধূমপান ছেড়ে দিয়েও কোনো লাভ নেই! কারণ ফুসফুস যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তা তো হয়েই গেছে! এটি একেবারেই ভুল ধারণা।

২০০৫ সালে আমেরিকান জার্নাল অব পাবলিক হেলথে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যায়, কিছু ভুল ধারণার কারণে অনেকেই ধূমপান আসক্তি থেকে বের হতে পারেন না।

নিকোটিন অবশ্যই স্পর্শকাতর। তবে তামাকের আরও অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ আছে। নিকোটিনের বাইরেও সিগারেটে বিভিন্ন যৌগ আছে, যা ক্ষতির।

আমেরিকান ফুসফুস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সিগারেটে কমপক্ষে ৭ হাজার রাসায়নিক আছে। এগুলো শরীরে প্রবেশ করলে ৬৯টি কার্সিনোজেনিক উৎপাদন হতে পারে (ক্যান্সারের জন্য দায়ী উপাদান)।

বিজ্ঞানের মতে, ধূমপান মানসিক চাপ কমায় না বরং বাড়ায়। কারণ ধূমপানের সময় আপনার দেহ নিকোটিন প্রত্যাহার করে। এই প্রত্যাহার উদ্বেগ, চাপকে আরও বাড়িয়ে তোলে। সরাসরি আপনার মেজাজকে প্রভাবিত করে।

মার্কিন জার্নাল অব পাবলিক হেলথের সমীক্ষায় আরও প্রকাশিত হয়েছে, প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ হালকা সিগারেট খেয়ে ভাবেন শরীরের কম ক্ষতি হবে। এই ধারণাটিও ভুল। কারণ সিগারেটে কমপক্ষে ৭ হাজার রাসায়নিক থাকে।

এ ছাড়াও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাই দিনে ২-৩টি সিগারেট খেলে কোনো ক্ষতিই হবে না, এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। একমাত্র ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করলেই আপনার ফুসফুস আগের ক্ষত সারিয়ে নেবে।

শরীরের রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা ১২ ঘণ্টার মধ্যে কমতে শুরু করে। স্নায়ুবিক ক্রিয়াকলাপও উন্নতি ঘটে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ধূমপান ছাড়ার এক সপ্তাহ পরে উন্নত হয়।

ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার এক বছরের মধ্যে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে। আপনি যদি ১০-১৫ বছর ধরে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন; তবে তামাকজনিত সব রোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমবে।