
সকালে বিছানা ছেড়ে উঠছেন তখন হঠাৎ পায়ের শিরায় টান। অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পরও শিরায় টান ধারে। আবার হাঁটতে গিয়েও হঠাৎ বেঁকে যায় পায়ের আঙুল। হাত ও কোমরের পেশীতেও টান দরতে পারে। একবার টান ধরলে মনে হয় প্রাণটাই বেরিয়ে যাবে! কারণ তীব্র যন্ত্রণা। কেন এমন টান ধরে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টান ধরার নানা কারণ থাকতে পারে। তবে ডিহাইড্রেশন বা জলের অভাবই এর জন্য দায়ী। শরীরে জলের পরিমাণ কমলে টান ধরে। কীভাবে টান ধরার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে?
গরমে শিরায় টান ধরার প্রবণতা বেশি। কারণ গরমকালে প্রচুর ঘাম হয়। তাই শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বেরিয়ে যাওয়া জলের ঘাটতি দেখা দেয়। শীতেও লেপের তলা থেকে বেরোতে শিরায় টান ধরে। কেন? আসলে শীতকালে অনেকেই কম জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হলে পেশির স্থিতিস্থাপকতা ভারসাম্য হারায়। শিরায় টান বা ক্র্যাম্পের প্রবণতা বাড়ে। পেশীর অসুখ থাকলেও শিরায় টান ধরতে পারে। তবে জলের অভাবই মূল দায়ী। শিরায় টান ধরা থেকে বাঁচতে তাই পরিমিত জল খেতেই হবে। কিন্তু আচমকা শিরায় টান ধরলে কীভাবে মোকাবিলা করবেন?
১। মালিশ- হাত, পা, আঙুল বা কোমরের শিরায় টান ধরলে সঙ্গে সঙ্গে আঙুলের চাপে ওই জায়গার চারপাশে ম্যাসাজ করুন। শক্ত হওয়া স্থান ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকবে।
২। পায়ের স্ট্রেচিং- পায়ের পেশীতে টান ধরে স্ট্রেচিং করলে মেলে সুফল। ধীরে ধীরে পা ওঠা-নামা করুন। ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। যে পায়ে টান ধরেছে সেই পা-কে টানটান করুন। অন্য কোনও ব্যায়াম করবেন না। হাত দিয়ে ম্যাসাজও করতে পারেন।
৩। কোমর ও থাই- থাইয়ের পেশীতে টান লাগলে হাত দিয়ে ম্যাসাজ করুন। শক্ত কিছুতে ভর দিয়ে দাঁড়ান। টান ধরা পাকে কোমর পর্যন্ত টানটান করুন ধীরে ধীরে।
কোমর ও পায়ের টান হাঁটাহাঁটি করলেও কমে।
৪। যোগ ব্যায়াম- কোমরের টানের ক্ষেত্রে ভুজঙ্গাসন করতে পারেন। টান ধরলে হট ব্যাগও রাখতে পারেন। ভালো করে সেঁক দিন। দশ সেকেন্ড পর বরফ সেঁক দিন। আবার গরম সেঁক। ঠান্ডা ও গরম সেঁক দিলে আরাম পাবেন।
পেশী টান হওয়ার পর সুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে ভারী কাজ করবেন না। খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিন।