সঙ্গী ডিভোর্সি হলে যেসব বিষয় মাথায় রাখা অবশ্যই জরুরি, জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

একা একা জীবন পারি দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাইতো জীবনের কোনো না কোনো সময়ে সবাইকেই জীবন সঙ্গী হিসেবে কারো না কারো হাত ধরতে হয়। তবে সঙ্গী যে সবসময় আপনার জন্য সঠিক হবে তা কিন্তু নয়। তাইতো  অনেকেই নিজেদের মধ্যে কলহ করে জীবন অশান্তিতে পার করার চাইতে, দু’জন আলাদা থেকে সুখে থাকার জন্যই ডিভোর্সের চিন্তা করেন।

 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ডিভোর্সের পর অনেক নারী-পুরুষই আবার নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে থাকেন। ভালোবাসা যদিও কোনো বিভেদ মানে না। তবুও আপনার সঙ্গী যদি ডিভোর্সি হয়, সেক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কারণ এসব বিষয়গুলো মাথায় রাখলেই হয়তো আপনাদের সম্পর্ক আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে।

অনেকেই ভেবে থাকেন, যার একটি সম্পর্ক টেকেনি; পরবর্তীতে টিকবে তার তো কোনো গ্যারান্টি নেই! এছাড়াও অনেক কটু কথার মুখোমুখি আপনাকে হতেই হবে। তাই বলে পছন্দের মানুষটিকে ভালোবাসবেন না তা কিন্তু নয়। বরং এসব কথায় পাত্তা না দিয়ে দু’জনের বোঝাপোড়া ঠিক রাখতে হবে।

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক এমন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি-

>> রাগের বশে কিংবা অভিমানে কখনো সঙ্গীর প্রাক্তনকে নিয়ে কটাক্ষপূর্ণ কথা বলবেন না। এতে আপনার প্রতি তার ক্ষোভ জন্মাবে।

>> প্রত্যেক সম্পর্কেরই কিছু ব্যক্তিগত চাহিদা থাকে। তাই নিজেদের সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক চাহিদা সম্পর্কে নিজেরা সচেতন থাকুন।

>> দাম্পত্য কলহ সব দম্পতির মধ্যেই হয়ে থাকে। তাই বলে সঙ্গীর অতীত জীবন নিয়ে কখনো কথা বলবেন না। নতুন সম্পর্ক, নতুন করেই শুরু করুন।

>> সঙ্গী যেন আপনার কোনো বন্ধু বা পরিবারের কারো দ্বারা বুলিংয়ের শিকার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। অনেক সময় তারা সঙ্গীর সামনে অতীত জীবন বিষয়ক কথা-বার্তা বলতে পারে; এজন্য আগে থেকেই এসব বিষয় সবার সামনে পরিষ্কার করুন।

>> ভালোবাসার মানুষটি এক বা দুই সন্তানের বাবা-মা হতেই পারেন। সঙ্গীর পাশাপাশি তার সন্তানকেও ভালোবাসতে চেষ্টা করুন। নিজেরা একান্তে সময় কাটাতেই পারেন। তাই বলে সন্তানকে উপেক্ষা করে নয়।

>> সঙ্গীর পাশাপাশি তার সন্তানের পছন্দ-অপছন্দ জানতে চেষ্টা করুন। সঙ্গীর সন্তানকে সময় দেয়াটাও জরুরি। হতে পারে প্রথম দেখায়ই ওই সন্তান আপনাকে পছন্দ করল না। তাই বলে আপনি মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। নিজের সন্তান ভাবতে শিখুন।

>> সঙ্গীর সন্তানের কারণে তার প্রাক্তনের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ হতেই পারে। সেক্ষেত্রে হীনমন্যতা প্রকাশ করবেন না। এ বিষয়ে আগে থেকেই দু’জনের স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।

>> ভবিষ্যতে আপনিও যদি সন্তান চান; সেক্ষেত্রে সঙ্গীর মতামত জানার চেষ্টা করুন। তার ওপর জোর প্রয়োগ করবেন না। মনে রাখবেন, দু’জনের সিদ্ধান্তের মর্যাদায়ই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়।

Related News