March 29, 2024 | 12:21 AM

Bruschette with butter red caviar, on gray background with copy space for text

কথায় আছে, মাছে ভাতে বাঙালি। অর্থাৎ খাবারের সময় পাতে মাছ না থাকলে বাঙালিদের চলেই না। ভোজনপ্রিয় বাঙালিরা মাছ খেতে দারুণ ভালোবাসেন। মাছ স্বাস্থ্যের পক্ষেও বেশ স্বাস্থ্যকর। শুধু মাছই নয়, এর ডিমেরও রয়েছে অভাবনীয় স্বাস্থ্য উপকারিতা। যা অনেকেরই অজানা।

স্বাস্থ্য ও জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাছের ডিম যা ক্যাভিয়ার বা রো হিসেবে পরিচিত। এটি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট হিসেবে আমাদের শরীরে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকদের মতে, মাছের ডিমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরের বহু সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেয়া যাক মাছের ডিম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
মাছের পাশাপাশি মাছের ডিমে থাকা প্রয়োজনীয় উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে
মাছের ডিমে থাকা ইপিএ, ডিএইচএ ও ডিপিএ (এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড) মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সহায়তা করে।

রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস হ্রাস করতে
গবেষকদের মতে, মাছ ও মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস- এর লক্ষণগুলো হ্রাস করতে সহায়তা করে।

চোখ ভালো রাখতে
মাছের ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিএইচএ ও ইপিএ শিশুদের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে এবং রেটিনার কার্যকারিতাকে উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি
মাছের ডিমে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলো রক্ত পরিষ্কার করে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে তোলে, যা অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি পেতে খুবই সহায়ক।

হাড় শক্ত করতে
মাছের ডিমের মধ্যে থাকে ভিটামিন-ডি, যা হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দাঁতকে মজবুত ও ভালো রাখতে সাহায্য করে।

হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে
মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন-ডি হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে
মাছের ডিমের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে না দেয়া এবং প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে, যা উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।