ঘুমিয়ে ওজন কমানোর সহজ ৫টি উপায়! জেনেনিন একনজরে

Written by News Desk

Published on:

ওজন কমানো সহজ নয়। সঠিক খাওয়া থেকে শুরু করে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা- নানাভাবে সতর্ক থাকার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে ঘুমের মতো আরামদায়ক একটি কাজও আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

আপনি যদি রাতে নিজের ওজন মেপে ঘুমাতে যান এবং সকালে আরেকবার মাপেন, তবে লক্ষ্য করবেন যে সকালে আপনার ওজন কম। আপনার শ্বাস এবং ঘামের কারণে এটি হয়ে থাকে।

এমনকি যখন শরীর বিশ্রাম নেয়, আমাদের অঙ্গ এবং শারীরিক প্রক্রিয়াগুলো বন্ধ হয় না। অঙ্গগুলোর কাজের কারণে ক্যালোরি খরচ হয়। একইভাবে, রাতে ঘুম ভালো না হলে তা শুধু আপনার মেজাজ খিটিমিটির কারণই হয় না, ওজনও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

কম ঘুমালে যেভাবে ওজন বাড়তে পারে

আট ঘণ্টার কম ঘুমালে স্ট্রেস লেভেল এবং করটিসল হরমোন বাড়তে পারে। কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধি আপনার অন্ত্রের জীবাণুকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। জীবাণুর মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা শেষ পর্যন্ত বিপাককে ধীর করে দেয়। ঘুমের ক্ষতি ক্ষুধার হরমোনগুলোকেও ব্যাহত করতে পারে, যা আপনাকে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রতি বেশি আগ্রহী করে তোলে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির করে, যা ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য জটিলতার কারণ হতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে শুধুমাত্র এক রাত ভালো ঘুম না হলেও তা পরের দিন বিপাক প্রক্রিায়াকে ধীর করে দিতে পারে, এটি শক্তির ব্যয় ২০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।

সন্ধ্যায় ভারোত্তলন

আপনি যদি সন্ধ্যায় ভারোত্তলন করেন তবে তা ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত আপনার বিপাককে বাড়িয়ে তুলতে পারে। গবেষণার ফল বলছে, সকালে ভারোত্তলনের বদলে সন্ধ্যায় ভারোত্তলন করলে তা স্থুলকায় পুরুষের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী হয়। সন্ধ্যায় ভারোত্তলন করা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিশাচর গ্লুকোজের মাত্রা কম লক্ষ্য করা গেছে।

কেসিন প্রোটিন শেক পান করুন

ধীর-নিঃসৃত এই প্রোটিন আট ঘণ্টা ধরে ধীরে ধীরে হজম হয় এবং বিপাকীয় কার্যপ্রক্রিয়া সারারাত ধরে চলতে থাকে। কেসিন হলো একটি ধীর-হজমকারী দুগ্ধ প্রোটিন যা পরিপূরক হিসাবে খাওয়া হয়। এটি ধীরে ধীরে অ্যামাইনো অ্যাসিড নিঃসরণ করে এবং শরীর সুস্থ রাখতে কাজ করে। ঘুমানোর সময় পেশীর ক্ষয় কমাতে এটি খেতে পারেন।

ঠান্ডা জলেতে গোসল

শরীরচর্চার পরে ঠান্ডা জলেতে গোসল করলে ল্যাকটিক অ্যাসিড বের হয়ে যায়। ব্রাউন ফ্যাট বিপাকীয়ভাবে সক্রিয় এবং ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে, তবে এ ধরনের ফ্যাট আমাদের কম রয়েছে। আপনার শরীরের ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যু বা ব্রাউন ফ্যাটকে সক্রিয় করতে ত্রিশ সেকেন্ড ঠান্ডা জলেতে থাকাই যথেষ্ট। ঠান্ডা জলেতে গোসল সেরে ঘুমাতে গেলে তা অতিরিক্ত ৪০০ ক্যালোরির মতো ঝরাতে সাহায্য করে। ব্রাউন ফ্যাট ঘাড় এবং কাঁধের পেছনে জমা হয়।

গ্রিন টি

গ্রিন টিয়ের ফ্ল্যাভোনয়েড আপনার বিপাককে বাড়িয়ে তুলতে পারে। দিনে তিন কাপ গ্রিন টি খেলে আপনি ঘুমের সময় ৩.৫ শতাংশ বেশি ক্যালোরি পোড়াতে পারবেন। তাহলে এখন থেকে সাধারণ চায়ের বদলে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

মাঝে মাঝে রোজা রাখুন

রোজা কিংবা উপবাস করলে তা শরীরে চিনির ভাণ্ডার নিঃশেষ করে ফেলে এবং চর্বি পোড়াতে শুরু করে। এটিকে মেটাবলিক সুইচিং বলা হয়। সপ্তাহে একদিন এটি মেনে চলতে পারেন। রোজা কিংবা উপবাস করে বর্তমান বিশ্বে একটি জনপ্রিয় ডায়েট প্ল্যান। এটি ওজন কমানোর স্বাস্থ্যকর উপায় বলে বিবেচিত।

Related News