March 29, 2024 | 12:04 AM

ডিম প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। উপাদানটিকে পুষ্টির পাওয়ার হাউসও বলা হয়। গুরুত্বপূর্ণ সব পুষ্টিই এতে বিদ্যমান। যদি আপনি ওজন কমাতে চান কিংবা সুগঠিত পেশি চান তবে এটি একটি উত্তম উপাদান।

তবে, স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে পুরো ডিম খেতে হবে না-কি কুসুম বাদ দিয়ে কেবল সাদা অংশ খেতে হবে- এ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। উচ্চ মাত্রার কলেস্টেরলের উপস্থিতির কারণে কুসুমকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। বিষয়টি হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত বলেও বিবেচনা করা হয়।

কুসুম কী সত্যিই ক্ষতিকর?
উচ্চ মাত্রার কলেস্টেরলের উপস্থিতির কারণে অনেকে ডিমের কুসুমকে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করে তা বাদ দিয়ে কেবল সাদা অংশ গ্রহণ করে। মনে রাখতে হবে, একটি ডিমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল রয়েছে যার সবই এর কুসুমে পাওয়া যায়। যদিও এটি সত্য যে ডিমের কুসুমে উচ্চ মাত্রায় কলেস্টেরল থাকে তবে তা অতটা খারাপ নয় যতটা মনে করা হয়।

আসলে, আমাদের শরীরে টেসটোসটেরন তৈরিতে কলেস্টেরল প্রয়োজন রয়েছে। এটি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি এবং পেশি গঠনে সাহায্য করে।

একটি পুরো ডিম নানা পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এর সাদা অংশ প্রোটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বাকি পুষ্টি থাকে কুসুমে। ডিমের কুসুম আয়রনে সমৃদ্ধ। তাছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন বি ২, বি ১২ এবং ডি যা সাদা অংশে নেই।

ইউনিভার্সিটি অব কানেকটিকাট’র এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের কুসুমে যে চর্বি রয়েছে তা শরীর থেকে খারাপ কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এমনকি ওজন কমাতে চাইলেও ডিমের কুসুম ফেলে দেবেন না। অবশ্য যদি কোনো পুষ্টিবিদ আপনাকে এই পরামর্শ দেন তবে ভিন্ন কথা।

ডিমের সাদা অংশ এবং পুরো ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদান নিচে দেওয়া হলো:

আটটি ডিমের সাদা অংশে
প্রোটিন: ২৮ গ্রাম
শর্করা: ২ গ্রাম
চর্বি: ০ (শূন্য) গ্রাম
ক্যালোরি: ১৩৭

চারটি পুরো ডিমে :
প্রোটিন: ২৮ গ্রাম
শর্করা: ২ গ্রাম
চর্বি: ২১ গ্রাম
ক্যালরি: ৩১২

ডিমের নিচের অংশ
ডিমের কুসুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর- পুরনো এই ধারণাটি ত্যাগ করতে হবে। এমনকি ওজন কমাতে চাইলেও এটি বাদ দেওয়া যাবে না। বরং সাদা অংশ বেশি না খেয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আপনার খাবার তালিকায় প্রতিদিন দুই-একটি পুরো ডিম রাখুন।