শরীরে কোনো সমস্যা হলে এখন আর আগের মতো সমস্যা নেই। আছে অ্যান্টিবায়োটিক। একটা খেলেই সমস্যা দূর। আর দু, তিনটে খেলে তো এই রোগ জীবনে কখনো হবেই না। অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিককে এভাবে দেখে থাকেন, ফলে এর যথেচ্ছ ব্যবহারে তাদের কোনো আপত্তি নেই। এজন্যই দেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খান ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই।
আবার অনেকে নির্দিষ্ট কোর্স শেষ করেন না। কেউ এগুলো পাত্তা দেন না, কেউ আবার এ সম্পর্কে সঠিক বিধি জানেন না। আসলে ব্যাপারটা কী?
অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে খেতে হবে? কী বলেন চিকিৎসক ও গবেষকরা?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলে থাকেন, মানুষের শরীরের অ্যান্টিবায়োটিকের অতি ব্যবহার বা কোর্স শেষ না করার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায়। এমনিতেই বাতাসে নানা ধরণের জীবাণু, ভাইরাস থাকে; সেগুলো প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
চিকিৎসকের করণীয়
১.প্রত্যেক চিকিৎসকের উচিৎ অ্যান্টিবায়োটিক এড়িয়ে সাধারণ ওষুধই প্রথমে ব্যবহার করা
২. প্রথমেই কড়া মাপের অ্যান্টিবায়োটিক না দিয়ে নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনে ওষুধ দেওয়া
৩. রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা
রোগীর করণীয়
১. চিকিৎসক শুরুতেই কড়া অ্যান্টিবায়োটিক দিলে তার চিকিৎসাজ্ঞান নিয়ে সন্দেহ করুন, অন্য চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করুন
২. নিয়ম মেনে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করুন, কোনো রকম হেলাফেলা এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়
৩. অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় নিয়ম করে দু’-তিন লিটার জল পান করুন। বেশি জল খেতে সমস্যা হলে ফলের রস, ডালজাতীয় খাবার খান।
৪. অ্যান্টিবোয়োটিক খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সঙ্গে অ্যান্টাসিড ও ভিটামিন খান
৫. অ্যান্টিবায়োটিক খেলে হজম ক্ষমতা কিছুটা কমে, তাই সহজপাচ্য খাবার খান। তেলমশলা জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে হজম সহায়ক খাবার খান।