March 28, 2024 | 1:36 PM

সারাদিনে আমরা যে পরিমনে জল খাই, তা কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে মূত্রনালী দিয়ে বের হয়ে যায়। মানুষের রেচন তন্ত্রে সংক্রমণ হাওয়াকে বলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন’। মানুষের রেচনতন্ত্র দুটি কিডনি, দুটি ইউরেটর, মূত্রথলি এবং মূত্রনালী নিয়ে গঠিত। কিডনি, মূত্রনালী বা মূত্রথলি যেকোনো জায়গাতেই সংক্রমণ হতে পারে। আবার একাধিক জায়গাতেও হতে পারে সংক্রমণ। এই সংক্রমণ পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই হতে পারে। তবে মহিলাদের এই সংক্রমণ বেশি হয়। দেখে নেওয়া যাক ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণগুলি।

প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা অনুভত হয়। প্রস্রাব গাঢ় হলুদ অথবা লালচে হয়ে যায়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হয়। কিছুক্ষন পর পর প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হয়, কিন্তু ঠিকমত প্রস্রাব হয়না। তলপেটে ব্যথা। সারাক্ষণ জ্বর এবং বমি ভাব।

এবার দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ইউরিন ইনফেকশনের প্রতিকার করবেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীদের ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। আনারসে এই ব্রোমেনাইল উপস্থিত। তাই ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রতিদিন এক কাপ আনারসের রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।

বেকিং সোডা খুব দ্রুত ইউরিন ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আধ চামচ বেকিং পাউডার এক গ্লাস জলেতে মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা ভাব কমে যাবে। দিনে একবার করে খাবেন।

ইউরিন ইনফেকশন হলে প্রীতিদিন অন্তত আড়াই লিটার জল খাওয়া উচিত। যাদের এই সমস্যা প্রায়ই হয়, তাঁদের একটু বেশি পরিমানে জল খাওয়া উচিত। সাধারণত প্রতি ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। এর চেয়ে বেশি দেরি হলে, বেশি করে জল খাওয়া উচিত।

ইউরিন ইনফেকশন হলে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে উপকার পাবেন।

ইউরিনের সমস্যা সাধারণত দুদিনের বেশি সময় ধরে থাকে। আর এই সময়ের মধ্যে কিডনিতে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত।