জেনেনিন ,কোন কোন “বাজে অভ্যাস” ফলে ,আপনার “রাতের ঘুম” নষ্ট হয়ে যেতে পারে ;বিস্তারিত দেখেনিন।

Written by News Desk

Published on:

অনিদ্রার সমস্যায় অনেকেই ভাগে থাকেন। এর জন্য মুঠো মুঠো ঘুমের ওষুধও খেয়ে থাকেন অনেকেই। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আসলে অনিদ্রার সমস্যা অনেকটা অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে হয়ে থাকে। বর্তমানে ছোট-হোক বা বড় সবাই কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মনিটরে তাকিয়ে কাজ কcvb কিংবা গেমস খেলায় ব্যস্ত থাকেন। জানেন কি, অতিরিক্ত ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে ছোট রাখার কারণে ঘুম কমে আসে।

সেইসঙ্গে অতিরিক্ত চা-কফি পান, ধূমপান ইত্যাদির কারণে অনিদ্রার সমস্যা বেড়ে যায়। আরও কয়েকটি অভ্যাস আছে, যেগুলো অনিদ্রার জন্য দায়ী। জেনে নিন সেগুলো কী কী-

ফোন ব্যবহার
ঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে ফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। তারপরও দেখা যায় ঘুমানোর আগে অনেকেই কিছুক্ষণ হলেও ফোন ব্যবহার করে থাকেন। এতে প্রধানত দুই ধরণের ক্ষতি হয়। প্রথমটি হলো, ঘুমের সময় ফোন ব্যবহার করার কারণে মস্তিষ্ক বিশ্রাম নেওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।
আর দ্বিতীয়ত, ফোন থেকে যে আলো চোখে পড়ে তা মেলাটোনিন হরমোনকে কমিয়ে দেয়। মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণের কারণেই ঘুম পেয়ে থাকে। তাই মেলাটনিন হরমোন নিঃসরণ কমে গেলে ঘুমানোর পরিমাণও কমে আসে।

ক্যাফেইন খাওয়া
ক্যাফেইনের যেমন উপকারিতাও আছে; ঠিক তেমনই এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও আছে। অনেকেই আমরা বিকেল বা সন্ধ্যার নাস্তার পর কফি পান করে থাকেন। তবে বিকের থেকে রাত অব্দি কফি পান করার কারণে ঘুম নষ্ট হয়। কফির ক্যাফেইন আমাদের ব্রেনকে সার্বক্ষণিক সজাগ রাখতে সাহায্য করে। তাই দিনের শেষ ভাগে কফি পান থেকে বিরত থাকুন।

ধূমপান করা
একটা সিগারেটেও হতে পারে অনিদ্রার কারণ। সিগারেটের প্রধান উপাদান হচ্ছে নিকোটিন যা একটি উত্তেজক পদার্থ। এটি আপনার ব্রেনে গিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এর ফলে ঘুম নষ্ট হয়। শুধু অনিদ্রা নয়, নিকোটিন ঘুমের যাবতীয় সব সমস্যার জন্য দায়ী। তাই ধূমপান পরিহার করুন।

রাতে দেরীতে খাওয়া
অনেকেরই মাঝ রাতে খাওয়ার অভ্যাস থাকে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, রাতের খাবার অন্তত ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত। কারণ খাবার পরিপাক হতে শরীরে অনেক সময় লাগে। তাই দেরীতে খাওয়ার পরপরই ঘুমানোর চেষ্টা করলেও গভীর ঘুম হয় না। আবার ভরপেট থাকলেও ঘুমের মাঝে অস্বস্তি হতে পারে।

রাতে শরীরচর্চা করা
নিয়মিত শরীরচর্চা করার বিকল্প নেই। তবে রাতে শরীরচর্চা করলে এর প্রভাব পড়ে ঘুমের উপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে অথবা সন্ধ্যা শরীরচর্চার জন্য উপযুক্ত সময়। অনেকেই হয়তো ব্যস্ততার কারণে রাতে শরীরচর্চা করে থাকেন। তবে তা হতে পারে অনিদ্রার কারণ।
রাতে ওয়ার্ক আউট করলে হার্টে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। তাই আপনার ঘুম অনেকটাই কমে আসে। তবে রাতে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটতে পারেন। এতে ঘুমের সমস্যা হবে না।

Related News