March 28, 2024 | 5:21 PM

ওজন কমানো সহজ কথা নয়। পেটে চর্বি হলে তো কথাই নেই! কারণ ওজন অনেক কষ্টে কমানো গেলেও পেটের চর্বি বা মেদ কমানো যথেষ্ট কঠিন। সেজন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা এবং কঠোর পরিশ্রম জরুরি। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাবার এবং ব্যায়াম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে খাবারের বিষয়ে কোনোভাবেই উদাসীন হওয়া চলবে না। বলা হয়ে থাকে ৭০ শতাংশ খাবার এবং ৩০ শতাংশ ব্যায়াম ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ওজন কমানোর জন্য ডায়েট সম্পর্কে খুঁজতে গেলে ইন্টারনেটে আপনি অনেক তথ্যই খুঁজে পেতে পারেন। যদিও সব ডায়েট সবার জন্য কাজ করে না, তবে কিছু সহজ ডায়েট ট্রিকস সবার জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। যেমন খালি পেটে রসুন খেলে তা আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে এবং অন্যান্য অনেক উপায়ে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।

রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা

রসুন >রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি মসৃণ রক্ত ​​প্রবাহের জন্য রক্তনালীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করে, রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালীগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার থেকে রক্ষা করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রসুনে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির মজুদ রয়েছে।

ওজন কমানোর জন্য রসুন

রসুনের মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান একসাথে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে যখন আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি খালি পেটে রসুন খাবেন, তখন এটি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

খালি পেটে রসুন খেলে তা আপনার শক্তির মাত্রা বাড়াতে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। রসুনের পুষ্টিগুণ বিপাক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা আপনার ওজন কমানোর কাজকে সহজ করে দেয়।

রসুন যখন খালি পেটে খাওয়া হলে তা আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পরিপূর্ণ রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। এভাবেই তা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি ক্ষুধা দমনকারী হিসাবে কাজ করে, যা আপনাকে বারবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে।

জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন চর্বি পোড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী। এতে ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, সেইসঙ্গে হজম সহজ করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ওজন কমানোর জন্য রসুন খাওয়ার সঠিক উপায়

প্রতিদিন খালি পেটে রসুনের সঙ্গে ২টি লবঙ্গ খেতে পারেন। আপনার যদি বমি বমি ভাব বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তবে এটি এড়াতে পারেন। গর্ভবতী, শিশু, নিম্ন রক্তচাপ, রক্তক্ষরণজনিত রোগ এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই পদ্ধতি এড়িয়ে যেতে হবে