দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার পর কী খাওয়া সঠিক তা জানেন কি?

Written by News Desk

Published on:

ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় সকালের খাবার বিকালে কিংবা দুপুরের লাঞ্চ ডিনারে গিয়ে ঠেকে। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে পাকস্থলী একেবারে খালি হয়ে যায়। তখন খেতে শুরু করলে অনেকে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শরীরে। তাই এই সময় কী খাওয়া উচিত আর কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়, তা জেনে নিতে পারেন।

ফল ও সবজি

দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর অনেকে তেলেভাজা খাবার খেয়ে থাকেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ সময় ফল এবং সবজি খেতে পারেন। ফল ও সবজিতে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে। এছাড়া নারকেলের দুধ, ড্রাই ফ্রুটস এগুলোও রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। রান্না করা সবজি খেলে সে খাবারে যেনো খুব অল্প পরিমাণে মরিচ, মশলা এবং তেলের ব্যবহার করা হয়, সেদিকটাতে খেয়াল রাখবেন।

বিশুদ্ধ জল, ডাবের জল, ফলের জুস

অনেকটা সময় না খেয়ে থাকার পর ভরপেট খেলেই হবে না, সাথে পান করতে হবে প্রচুর জলও। কারণ শরীরকে হাইড্রেট রাখা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ জল পানের পাশপাশি নারকেল বা ডাবের জলও পান করতে পারেন। এছাড়াও ফলের রসও পান করতে পারেন। যা শুধু পিপাসা মেটাবে তা নয়, শরীরকে প্রয়োজনীয় ভিটামিনও যোগান দিবে।

খেজুর

যদি মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ভালোবাসেন, তাহলে এই সময়ে খেজুর খেতে পারেন। খেজুর সুস্বাদু বেশ পরিচিত একটি ফল যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

তেলেভাজা খাবার খাবেন না

দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর চটজলদি তৈরি হয়ে যাওয়া কোনো খাবার একেবারেই খাবেন না। বিশেষকরে তেলেভাজা খাবার। সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে পাকস্থলী খুব ক্ষুধার্ত ও দুর্বল থাকে। তারপর যদি ভাজা-পোড়া খাওয়া হয় তাহলে পেটের সমস্যা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, অবসাদ, আলসার, অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে। আর ওজন তো বাড়বেই। তাই দীর্ঘসময় না থাকার পর অবশ্যই ভাজা-পোড়া খাবার খাবেন না, এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

Related News